অধ্যক্ষ শেখ আবু হামেদ, একজন সর্বত্যাগী দেশপ্রেমিক
প্রকাশিত : ১১:৫৩, ১৭ মে ২০২৩
দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ শেখ আবু হামেদ (১৯২৮-২০১৪ খ্রি.) সরাইল তথা উত্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক কিংবদন্তি। একই সাথে তিনি ছিলেন এলাকার অন্যতম মেধাবী ছাত্র, উদ্যোগী ছাত্রনেতা, ভাষাসৈনিক, ত্যাগী শিক্ষাবিদ, উদ্যমী সমাজসেবী, মুক্তিযোদ্ধা, নিঃস্বার্থ রাজনীতিবিদ, সাদামাটা জীবনাদর্শে বিশ্বাসী, সর্বোপরি আলোকিত সরাইল গড়ার কারিগর। তাঁর জীবন ইতিহাস এক সর্বত্যাগী দেশ গড়ার তথা দেশপ্রেমিকের ইতিহাস।
১৯২৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার এক নিভৃত পল্লী আগিতারা (বর্তমান আঁখিতারা) গ্রামের এক সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারের ধার্মিকতা ও স্বাধীনচেতনায় তিনি ছাত্রজীবন থেকেই অনুপ্রাণিত ছিলেন। অসুস্থতার কারণে তাঁর শিক্ষা জীবন কিছুটা দেরিতে শুরু হলেও তিনি ছিলেন এলাকার অত্যন্ত সাহসী ও মেধাবী ছাত্র।
১৯৪৮ সালে সরাইল অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় মহাত্মা গান্ধী আঁততায়ীর গুলিতে নিহত হলে কালীকচ্ছে তাঁর স্মরণে যে শোকসভা হয় তাতে তিনি পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করে উপস্থিত হিন্দু-মুসলিম সবাইকে মহাত্মা গান্ধীর জন্য দোয়া করার আহবান জানান। তাতে উপস্থিত কিছুসংখ্যক হিন্দুদের মাঝে প্রতিক্রিয়া হলেও পরে এ ঘটনা শুনে সরাইল অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয়ের হেডমাস্টার নগেশ চন্দ্র সেন এবং অন্যান্য শিক্ষকগণ তাঁর সৎসাহসের ভূঁয়সী প্রশংসা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, মহাত্মা গান্ধী তাঁর অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির জন্য এবং তাঁর রচিত, ‘‘আল্লা-ভগবান তেরি নাম, পতিত পাবন সীতারাম’’ ইত্যাদি গানের জন্য সব সম্প্রদায়ের নিকট সমান প্রিয় ছিলেন। এই সাহসী মেধাবী ছাত্রই ১৯৫১ সালে মেট্রিক পরীক্ষায় ইস্ট পাকিস্থান শিক্ষা বোর্ডে ১৭তম স্থান অধিকার করেন। তিনি ১৯৫৩ খ্রি. ঢাকা কলেজ থেকে ১ম বিভাগে আইএ এবং ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে সম্মানসহ এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
অন্নদা স্কুলের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ১৯৪৮ সালে প্রথমে নিজ গ্রাম আঁখিতারায় এবং কিছুদিন পর সরাইলের কুট্টাপাড়ায় মুকুল ফৌজ গঠন ও পরিচালনা করেন। ১৯৫২ সালে ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে তিনি স্বক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন। তখন তিনি ঢাকা কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের নির্বাচিত সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির দিন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে শহীদ বরকত, সালাম, রফিক প্রমুখ ছাত্রনেতাদের মিছিলে তিনিও ছিলেন। শহীদদের খাতায় তাঁর নামও থাকতে পারতো। ভাষাসৈনিক হিসেবে তাঁর ছবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসুর সংগ্রহশালায় এখনও সযত্নে রক্ষিত আছে। ছাত্রজীবন থেকেই এমনি সাহসী ও ত্যাগী দেশপ্রেমিক ছিলেন অধ্যক্ষ আবু হামেদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন ‘‘আলোকিত সরাইল’’ গড়ার লক্ষ্যে ১৯৫৩ সালে ‘‘সরাইল কালচারাল এসোসিয়েশন’’ গঠন করেন। ঐ বছরেই সরাইলে নারী শিক্ষার প্রয়োজনে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেন এবং বিদ্যালয়টির সরকারি স্বীকৃতি লাভের জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। তখন থেকেই সরাইল বালিকা বিদ্যালয় এলাকায় নারী শিক্ষার উন্নয়নে দীপশিখা হিসেবে কাজ করে চলেছে।
সরাইলকে সুখি, সুন্দর ও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৫৬ সালে এলাকায় আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেন। সরাইল আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোনীত হয়ে সরাইলের আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যান। তিনি ভাষা আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ ও তদানিন্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধীরন্দ্রনাথ দত্তকে নিয়ে সরাইল থানার প্রথম রেজিষ্টার্ড সমিতি ‘শাহবাজপুর সমাজকল্যাণ সমিতি’র লাইব্রেরি উদ্বোধন ও শাহবাজপুর হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য অনুষ্ঠানাদি করেন যাতে সমিতির সার্বিক উন্নয়ন ধারায় গতি সঞ্চারিত হয়।
১৯৬৭ খ্রি: তিনি নিজ গ্রামে ‘আঁখিতার স্পোটিং ক্লাব’ নামে দ্বিতীয় রেজিষ্টার্ড ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৯ সালে সেখানে একটি খেলার মাঠও প্রতিষ্ঠা করেন। এভাবেই তিনি রাজনীতিকে দেশসেবার কাজে বিশেষ করে সরাইলের সার্বিক আর্থ সামাজিক উন্নয়নের কাজে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করতে থাকেন।
উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ূব খান পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখল করে সামরিক শাসন জারির পর সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে গেলে তিনি শিক্ষকতা ও সরকারি চাকুরিসূত্রে কয়েক বছর সরাইলের বাইরে অবস্থান করেন। ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনষ্টিটিউটে (IER) স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার কমিটি গঠন করেন এবং এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
থানা শিক্ষা অফিসার থাকাকালীন ১৯৬২ সালে তিনি কিশোরগঞ্জ শহরে অধ্যাপক নরেন্দ্র চন্দ্র ঘোষকে নিয়ে কিশোরগঞ্জ সাহিত্য সংসদ গঠন করেন। সরকারি চাকরিতে অন্যান্য চাকরিজীবীদের মতো তিনিও পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দেই জীবন কাটিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু একজন ত্যাগী দেশপ্রেমিক হিসেবে তিনি এ জীবনধারা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। ১৯৬৪ সালে থানা শিক্ষা অফিসারের সরকারি চাকরি ছেড়ে শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে এলাকায় আবার ফিরে আসেন এবং সরাইলের শিক্ষা ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে আত্মনিয়োগ করেন।
সরাইলে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করে আলোকিত সরাইল গড়া ছিল শিক্ষাবিদ আবু হামেদের আজীবনের সপ্ন। সে সপ্ন বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ১৯৬৪ সালে তিনি কালীকচ্ছে পাককল্যাণ সমিতি গঠন করেন। এ সমিতির কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরাইলে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার পক্ষে জনমত গঠন চলতে থাকে। সে ধারাবাহিকতায় ১৯৬৮ সালে প্রথম ৬ মাস বিরতিহীন সভা, গণযোগাযোগ ও তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে জঙ্গলাকীর্ণ ও পরিত্যক্ত ৮ একর জমি পাওয়ার অব এটর্নির সূত্রে মালিক আব্দুল আওয়াল মিয়া স্বত:স্ফূর্তভাবে কলেজের জন্য দান করেন। ফলে কলেজ প্রতিষ্ঠার পথ সহজ হয়ে যায়। কলেজের জন্য এত জায়গা ছেড়ে দিয়ে আউয়াল মিয়াও মহানুভবতা, বদান্যতা ও দানবীর খেতাব পাওয়ার যোগ্য।
পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে সরাইল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে গঠিত কমিটির আহবায়ক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। পরিশেষে তিনি ১৯৭০ সালের ২৪ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তৎকালীন এসডিও কাজী রাকিব উদ্দীনকে (বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার) দিয়ে সরাইল কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং নিজে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে ঐ বছরেই সেপ্টেম্বর মাসে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চালু এবং কুমিল্লা বোর্ডের স্বীকৃতি আদায় করা হয়।
সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষার মাধ্যমে সরাইলের পরিবেশ সর্বাঙ্গীন সুন্দর করার স্বপ্ন যেন তাঁকে হাতছানি দিয়ে ডেকেছিল তাঁর সকল কর্মকাণ্ড তারই ইঙ্গিতই বহন করে। কিন্তু কলেজের তখন কিছুই ছিল না। না ছিল শ্রেণিকক্ষ, না ছিল অফিস এবং স্টাফ এমন কি শিক্ষকও। রায়বাড়ির একটি জড়াজীর্ণ পুরানো দালানে কলেজের কার্যক্রম শুরু করেন অধ্যক্ষ আবু হামেদ এবং অফিস সহকারী হারুন-আর-রশীদ লস্কর (যিনি পরবর্তীকালে কালীকচ্ছ পাঠশালার প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বও পালন করেছিলেন)। তাঁরা দু’জন মিলেই কলেজে ছাত্রছাত্রী ভর্তির উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
অধ্যক্ষ আবু হামেদ নিজে ছাত্রদের নিয়ে কলেজের ফান্ড সংগ্রহ করতেন। পরে ২/১ জন শিক্ষকও যোগদান করেন। এমনিভাবে হাটি হাটি পা পা করে কলেজের কর্মকাণ্ড শুরু হয়।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে অধ্যক্ষ আবু হামেদ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তখন তাঁর ছেলেমেয়েরা সবাই নাবালক, পরিবার কালীকচ্ছে অরক্ষিত। সব পিছুটান ঝেঁড়ে ফেলে তিনি খালি হাতে মুক্তিযুদ্ধে সামিল হবার জন্য দেশত্যাগ করেন। ১৮ই এপ্রিল তারিখে দীর্ঘ ৪০ মাইল পথ পায়ে হেঁটে, সাঁতরিয়ে আগরতলা শহরে পৌঁছেন। প্রথমে পলিট্যিক্যাল মোটিভেটর হিসাবে নরসিংহগর ও বঙ্গ সার্দুল যুব শিবিরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আগরতলা শহরে বিভিন্ন জনসভায় তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে উদ্দীপনাময় বক্তৃতা করতে আমি নিজে দেখেছি।
পরে সেপ্টেম্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের অধ্যাপক হরলাল রায়কে নিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি গঠন করেন। ১৯৭১ সালে ৩০ ডিসেম্বর কোলকাতা থেকে স্বাধীন দেশে ফিরে সরাইল কলেজের পুনরুজ্জীবন দান করেন এবং অধ্যক্ষ হিসাবে পুনরায় সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৩ সালে দেশের সার্বিক অবনতিশীল অবস্থার কথা চিন্তা করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলে সরাইলের তখনকার এমপি তাহের উদ্দীন ঠাকুর তাঁর উপর ক্ষেপে যান। এমপি মহোদয় প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে কলেজের সব সাহায্য-সহযোগিতা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয় ১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষ এবং এএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয়। এসব কারণে কলেজটি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, কলেজটিকে চালু রাখার জন্য এবং সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়ার জন্য অধ্যক্ষ আবু হামেদ সার্বিক প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের নবীন শিক্ষক। আমার বড় ভাই শৈলেন সেন, এমপি সাহেবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আওয়ামী লীগ কর্মী ছিলেন। ফলে তিনি আমাকেও বেশ ভালভাবে চিনতেন। অধ্যক্ষ সাহেব আমাদের নিয়েও তাঁর মান অভিমান ভাঙ্গানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সব প্রচেষ্টাই বিফলে যায়।
অধ্যক্ষ শেখ আবু হামেদের মহান জীবনাদর্শ এবং কল্যাণধর্মী স্বপ্ন কোন দিনই ব্যর্থ হতে পারে না। তাই কলেজটি আবার চালু হয়ে বর্তমানে এলাকায় জ্ঞানের দীপশিখা জ্বালিয়ে যাচ্ছে। সরাইল থানায় বিভিন্ন ইউনিয়নে বা গ্রামে হাইস্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় তিনি সব সময়ই উৎসাহ প্রদান করতেন এবং বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। শিক্ষা, সাহিত্য,সংস্কৃতি,ঐতিহ্য রক্ষার কাজে তিনি ছিলেন সবার অগ্রগণ্য এবং পথপ্রদর্শক। ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে তিনি সরাইলের ইতিহাসকে অন্ধকার থেকে আলোতে টেনে এনেছেন।
কালীকচ্ছে আমাদের পাড়ায় বাড়ি করার পর প্রতিবেশী হিসেবে তাঁকে আমি কাছে থেকে দেখেছি তাঁর সাদামাটা অনাড়ম্বর জীবনযাপন, মানুষের প্রতি ভালবাসা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধ। সবার সঙ্গে সহজেই মিশতে পারতেন এবং সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন। সবার বিপদে-আপদে ছুটে যেতেন।
এলাকার সার্বিক উন্নয়নে বিশেষ করে শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য ইত্যাদি রক্ষায় এবং প্রসারে অধ্যক্ষ শেখ আবু হামেদ চিরদিন আমাদের আদর্শ হয়ে থাকবেন। তাঁর দেশপ্রেমের অমর আদর্শ আমাদের আগামী প্রজন্মের কাছে দীপশিখা হয়ে জ্বলবে। করুণাময় আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি তিনি বেহেস্তবাসী হোন।
লেখক: সুপারনিউমারি অধ্যাপক ও গবেষক, এসবিআই বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এএইচ
** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।